
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর রাশিয়া কিয়েভ অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ পর্যালোচনায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল অব স্টাফ বলেন, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পর কিয়েভ থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছে রাশিয়া। তার দাবি, কিয়েভে থাকা রুশ সেনাবাহিনীর কৌশলগত দুটি দল ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির’ শিকার হয়েছে। রুশ সেনাবাহিনী এখন ওই দুই দলকে বেলারুশের দিকে সরিয়ে নিচ্ছে। পর্যালোচনায় আরো দাবি করা হয়, রাশিয়া থেকে ইউক্রেনে যাওয়া সেনা ইউনিটগুলোর ‘তীব্রতা’ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। খবর বিবিসির।
এদিকে সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া কার্যকরভাবে কৃষ্ণ সাগর উপকূলে নৌ-অবরোধের মাধ্যমে ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। অন্যদিকে যুদ্ধের প্রথম পর্ব শেষ করার ঘোষণা দিয়ে দনবাসে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললেও, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের বিভিন্ন বড় শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
তবে শান্তি ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই এখন ইউক্রেনের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রবিবার (২৭ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আলোচনায় আমাদের অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কে সবার জানা আছে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা সন্দেহাতীত থাকবে। অর্থাৎ এসব বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
ইতোমধ্যে তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে পরবর্তী আলোচনায় সম্মত হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে জেলেনস্কি বলেন, শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ দেশ হতে ইচ্ছুক। পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসের মর্যাদা নিয়ে আপস করতেও প্রস্তুত। যদিও ইউক্রেনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ইউক্রেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করতে চাচ্ছে রাশিয়া।
তবে নিরপেক্ষ অবস্থান মেনে নিতে রাজি হলেও এ রকম চুক্তিতে তৃতীয় পক্ষগুলোর জিম্মা ও গণভোটের আয়োজনের কথা বলছেন জেলেনস্কি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: