
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর সিরিয়ার বেশ কয়েকটি শহর তছনছ হয়ে যায়। বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৮০০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গেছে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া মানুষদেরকে উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন কয়েক হাজার সদস্য।
এএফপি বার্তা সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, শুধু তুরস্কেই এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ হাজার ৮৯৪ জন। সিরিয়ায় কমপক্ষে ১ হাজার ৯৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই দেশে প্রায় ২ হাজারের বেশি ভবন ধসে চাপা পড়ে বহু মানুষ।
ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে মঙ্গলবার রাতভর উদ্ধার অভিযান চলতে থাকে। উদ্ধারকারীরা বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধানে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কেননা সময় যত গড়াচ্ছে, তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও ফুরিয়ে যাচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার শঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে যখন মানুষজন ঘুমিয়ে ছিলেন ঠিক তখনই আঘাত হানে এই ভূমিকম্পে। ইউএসজিএস জানায়, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূগর্ভের প্রায় ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার গভীরে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। ৯ হাজার সেনাসহ অন্তত ১২ হাজার উদ্ধারকারী কাজ করছেন তুরস্কে। ৭০টির বেশি দেশ উদ্ধারকারী দল ও অন্যান্য সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে, ত্রাণ সহায়তা পাঠানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে সিরিয়ায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: