
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজধানী ত্রিপোলিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর লিবিয়ায় অবিলম্বে সহিংস কার্যক্রম বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ত্রিপোলির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লড়াইয়ের সময় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত অভ্যুত্থানে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। কিন্তু যে উদ্দেশে এ অভ্যুত্থান তা সফলতার মুখ দেখেনি। তেলসমৃদ্ধ দেশটির জীবন মান আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর তুলনায় উন্নত ছিল। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাওয়া যেত। গাদ্দাফির পতনের পর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা চলছে। বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রায় লড়াইয়ের ঘটনা ঘটছে।
শনিবার আন্তর্জাতিকভাবে লিবিয়ার স্বীকৃত সরকারের সশস্ত্র বাহিনী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি কাফেলাকে পিছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, ফাথি বাশাঘা নিজেকে লিবিয়ার অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী মনে করেন এবং তার এ দাবির প্রতি সমর্থন আছে পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্টের। ২০১৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ফাথি। রাজধানীজুড়ে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরজুড়ে ছিল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। কয়েকটি হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: