
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে ক্ষুব্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে চীন। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এতদিন নিয়মিত সংলাপ চলছিলো। খবর বিবিসি’র।
বিবিসি জানিয়েছে, সংলাপ ও যোগাযোগ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি ঘোষণা দিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন এবং অবৈধ অভিবাসী প্রত্যর্পণসহ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান সহযোগিতাও স্থগিত করার কথা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গত বছরই স্কটল্যান্ডের গাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে দুই দেশ বিশ্বের তাপমাত্রা কমাতে একটি চুক্তি করেছিল। জলবায়ু পরিবর্তন সামলানোর আন্তর্জাতিক চেষ্টায় সাফল্যের জন্য চীন-মার্কিন সহযোগিতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু সেটি থেকে বেড়িয়ে এসেছে চীন।
তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে দেশটি। কিন্তু সেখানে অন্য দেশের একজন স্পিকার সফর কোরায় ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। সেই ক্ষোভ থেকে ন্যান্সি পেলোসি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।
চীনের দাবি, পেলোসি চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলিয়েছেন, চীনের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতা খর্ব করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন নীতি’ লঙ্ঘণ করেছেন এবং তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি এবং স্থিতিশীলতাকে মারাত্মক হুমকিতে ফেলেছেন।
উল্লেখ্য, ন্যান্সি পেলোসির এই সফরের পর চীন তাইওয়ানের চারদিকে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এর নিন্দা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, চীনের এই প্রতিক্রিয়া মাত্রাতিরিক্ত এবং অযৌক্তিক। তবে নিজের মহড়া অব্যাহত রেখেছে চীন। তাইওয়ানের চারদিকে সাগরে এবং আকাশে চীনের সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী মহড়া করছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলছে, তাইওয়ান প্রণালীতে একাধিক চীনা যুদ্ধ জাহাজ এবং যুদ্ধ বিমান তাদের সীমানা লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে ১০টি চীনা যুদ্ধ জাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে তাইওয়ানের সীমানার মধ্যে ঢুকে সেখানে অবস্থান করছে। এছাড়া, ২০টি চীনা যুদ্ধ বিমানও ঐ এলাকায় তাইওয়ানের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: