
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ইয়াইর লাপিদ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেট এক বছর পার করার পর ইহুদি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ।
শুক্রবার (১ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, আগামী ১ নভেম্বর ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় পর্যন্ত ইয়াইর লাপিদ ইসরায়েলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
চার মাস পর ইসরায়েলের আবারো নির্বাচন হলেও সেটি নাফতালি বেনেটের অধীনে হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ইয়াইর লাপিদ। ফলে তার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটা নির্ধারিত। কেননা, জোট করে সরকারে আসার আগে শর্ত মোতাবেক, সরকারের পূর্ণাঙ্গ মেয়াদের অর্ধেক সময় বেনেট ও অর্ধেক সময় লাপিদ প্রধানমন্ত্রী থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, নড়বড়ে ক্ষমতায় থাকা বেনেট সরকারকে আর চাচ্ছিলেন না ইসরায়েলি আইন প্রণেতারা। তাই বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ভোটাভুটির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়। বেশিরভাগ পার্লামেন্ট সদস্য এতে মত দেন।
খবরে আরো বলা হয়, বেনেট-লাপিদ জোটে ভাঙন ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইহুদি রাষ্ট্রটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও ক্ষমতায় ফেরার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
নভেম্বরের নির্বাচনে ইয়াইর লাপিদ অনেকটা চাপে থাকবেন। কেননা, ইসরায়েলি রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর প্রভাব বেশ। দীর্ঘদিন ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী থাকায় তাকে চ্যালেঞ্জ করা ইয়াইর লাপিদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। সূত্র: বিবিসি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: