
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের সম্মুখ যুদ্ধে পাঠানো যাবে এমন একটি আইনে অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সূত্র: রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান রুসলান স্তেফানচুক গত সোমবার (৬ মে) এই নথিতে স্বাক্ষর করে অনুমোদনের জন্য ওইদিনই জেলেনস্কির কাছে পাঠান।
খবরে বলা হয়েছে, এতদিন পর্যন্ত ইউক্রেনের আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা শুধু নিজ নিজ অঞ্চল বা সম্প্রদায়ের মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছেন। এই আইনের ফলে এখন যুদ্ধক্ষেত্রই নয়, কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকা যেকোনো স্থানে তাদের পাঠানো যাবে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ আঞ্চলিক সেনা মোতায়েনের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হবেন।
এর আগে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্সেই রেজনিকভ গণমাধ্যমকে জানান, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে সেনার সংখ্যা ১০ লাখে উন্নীত করা প্রয়োজন।
গত জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনের ২৫ ব্রিগেড আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনী রয়েছে যার মোট সদস্য সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি।
ইউক্রেনের পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এই আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরদিন থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। কিন্তু কিছু দিন পরই যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তন করে রাশিয়া দোনবাস ও দক্ষিণাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় মস্কো। এর পরই কিয়েভের আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই পোল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করে লাখ লাখ ইউক্রেনীয়।
এদিকে ন্যাটো প্রধান বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেশ রক্ষায় ইউক্রেন কঠিন মূল্য দিচ্ছে। রাশিয়াও ব্যাপক হতাহতের শিকার হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: