
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি রিনাত আখমাতেভ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তার দাবি, মারিউপোলে ইস্পাত কারখানায় রাশিয়া নির্বিচারে বোমা ফেলার কারণে তার ১৭ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ শিল্পপতি আখমাতেভ বলেন, আমরা অবশ্যই রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করব এবং যাবতীয় ক্ষতির যথাযথ ক্ষতিপূরণ চাইব।
ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে রিনাত আখমাতেভ দাবি করে বলেন, রাশিয়ার আক্রমণে ১৭ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ মামলায় উল্লেখ করবেন বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় ইউক্রেনের সর্বশেষ সেনারা অবস্থান নেয়। তাদেরকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে রাশিয়া সেখানে নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে। মারিউপোলে ইউক্রেনের শীর্ষ ধনী রিনাত আখমাতেভের ইলিচ ইস্পাত এবং লোহা কারখানা ছিল। বোমাবর্ষণে এই ইস্পাত কারখানা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া হামলা শুরুর আগেই ইউক্রেনের এই বিলিনিয়রের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নিলে তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া শুরু হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পর তার কোম্পানি ‘মেতিনভেস্ট’ ডিলারদের সঙ্গে চুক্তি করা মালামাল সরবরাহ করতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়। সূত্র: রয়টার্স।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। কিন্তু কিছু দিন পরই যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তন করে রাশিয়া দোনবাস ও দক্ষিণাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় মস্কো। এর পরই কিয়েভের আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা অভিযান শুরুর পর থেকেই পোল্যান্ডসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে ৬৫ লাখ ইউক্রেনীয়। সূত্র: সিএনএন।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: