ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

অস্ত্র সহায়তা নিয়ে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি করল রাশিয়া

আল আমিন | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০২:৩৬

আল আমিন
প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০২:৩৬

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  আবারও আমেরিকার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল রাশিয়া। ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার বিশেষ অভিযান প্রতিহত করতে কিয়েভকে অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র দেওয়ার ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে এই হুঁশিয়ারি দেয় মস্কো।

আমেরিকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি অ্যান্তোনভ বলেছেন, কিয়েভের প্রতি ওয়াশিংটনের চলমান অস্ত্র সাহায্য দুই পারমাণবিক পরাশক্তির মধ্যে অকল্পনীয় সংঘাত বাধিয়ে দিতে পারে।

রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো একদিকে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুরু করে, অন্যদিকে কিয়েভের প্রতি সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দেয়। পশ্চিমা দেশগুলোর কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র ও গোয়েন্দা সাহায্য নিয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

রুশ রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনভ ওয়াশিংটকে সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর পর্যায়ে’ নিয়ে গেছে এবং এই পরিস্থিতি বিশ্বের দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের জন্য অনিশ্চিত পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

রাশিয়ার এই সিনিয়র কূটনীতিক বলেন, বিশ্বের নিরাপত্তা রক্ষায় ওয়াশিংটন ও রাশিয়ার গুরুদায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু আমেরিকা কিয়েভকে সমরাস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখলে মস্কো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে যার পরিণতি ভালো হবে না। সূত্র: তাস, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। কিন্তু কিছু দিন পরই যুদ্ধের লক্ষ্য পরিবর্তন করে রাশিয়া দোনবাস ও দক্ষিণাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানায় মস্কো। এর পরই কিয়েভের আশপাশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস জানিয়েছে, রুশ হামলায় এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অনেকে। এ সময় বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়েছেন ৫৫ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়। সূত্র: আল-জাজিরা।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: