
নিজস্ব প্রতিবেদক: ওটিটি কিংবা এফটিপি সার্ভারের মাধ্যমে টিভি চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা।
শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা জানান সংগঠনটির সভাপতি এ বি এম সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ব্যবসায় টিকতে না পেরে সোমবার (১০ মার্চ) সাময়িক ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব টিভি সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ থাকবে। এ সময় তিনি আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে কেবল অপারেটরদের দাবিগুলো সরকারকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
ক্যাবল অপারেটরদের এই সংগঠনটির দাবিগুলো হলো-
১. ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা আইপিভিত্তিক ভিডিও প্রোগ্রাম, অনলাইন টিভি প্ল্যাটফর্ম এ এফটিপি, এনআইক্স, বিডিআইএক্সসহ অন্যান্য সার্ভারের মাধ্যমে কেবল টিভির দেশি-বিদেশি পে-চ্যানেল প্রচার করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এগুলো অতিদ্রুত বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। ক্যাবল অপারেটররা বৈধভাবে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনায় বাধা দূর করতে কালো আইন বাতিল করতে হবে।
২. ওটিপি, আইপি টিভি প্লাটফর্মে লিনিয়ার টিভি চ্যানেল প্রচার বন্ধ করাসহ যেন বিনামূল্যে প্রচারিত না হয় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩. নীতিমালা ও বিধিমালার আলোকে অতি দ্রুততার সঙ্গে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নে যথাযথ নিতে হবে।
৪. কেবল টিভি ব্যবসার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পূর্বের নিয়মে ক্যাবল টিভি খাতে বিবিধ অভিযোগ ও অনিয়ম দ্রুত সমাধান করার জন্য এবং এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে এককভাবে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায়, ধর্মঘটে যাওয়ার আগে কেবল টিভি সেবাদাতাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান সম্প্রচার সাংবাদিকদের সংগঠন-ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির নেতারা।
বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা বলেন, চার ঘণ্টা টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ থাকলে বিনোদন কিংবা তথ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন টেলিভিশন মালিকরা। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই এ বিষয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: