ঢাকা | শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

সেলিম সোহেল | প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪ ১২:১৫

সেলিম সোহেল
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪ ১২:১৫

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আফগানিস্তানের ইতিহাস

এই ম্যাচে জিতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ ছিল সেমিফাইনাল নিশ্চিতের। তাতে আশার আলো হয়ে দেখা দিয়েছিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে শেষমেশ আর আশা পূর্ণ হলো না। আফগানিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ের কাছে হার মানতে হলো অজিদের। ২১ রানের জয়ে সেমির স্বপ্ন বেঁচে রইলো আফগানদের। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের জন্য অপেক্ষা বাড়লো মিচেল মার্শের দলের। 

রোববার (২৩ জুন) কিংসটাউনে আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের ফিফটিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তানের বোলিং তোপে ও দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে ১৯.২ ওভারে ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। নাভিন-উল-হকের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ট্রাভিস হেড শূন্য রানে ফেরেন। ফুল লেংথে পিচ করা বলটা বুঝতেই পারেননি হেড। মারাত্নক সুইং করে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে ভেতরে ঢুকে যায় বল, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।

হেডের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। ফজল হক ফারুকির করা দ্বিতীয় ওভারে দুই চারে পরিবেশ কিছুটা হালকা করার চেষ্টা করেন মার্শ। তবে নাভিনের পরের ওভারেই আক্রমণ করতে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। আফগান পেসারের স্লোয়ার ডেলিভারি হাঁকাতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন ১২ বলে ৩ রান করা অজি অধিনায়ক। অনায়াসে বল তালুবন্দি করেন মিড অফে দাঁড়ানো মোহাম্মদ নবী।

এরপর ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে পাওয়ারপ্লে’র শেষ ওভারেই বাঁধে বিপত্তি। নূর আহমেদের লেগ স্পিনে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে স্টাম্প হারান ৩ রান করা ওয়ার্নার। পাওয়ারপ্লে’তে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ৩৩-৩!

ওয়ার্নারের বিদায়ে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন মার্কাস স্টয়নিস। দুজন মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। একদিকে ধরে খেলছিলেন স্টয়নিস, অন্যপ্রান্তে মারদাঙ্গা মেজাজে ব্যাট চালান ম্যাক্সওয়েল। ১০ ওভারে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান। পরের ওভারেই চড়াও হতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন স্টয়নিস।

গুলবাদিন নাইবের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় স্টয়নিসের ইনিংস। আউট হওয়ার আগে বল নষ্ট করে ১৭ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলেন স্টয়নিস। এরপর ক্রিজে আসেন টিম ডেভিড। তবে অজি হার্ডহিটারকে টিকতে দেননি গুলবাদিন। ২ বলে ৪ রান করে আফগান পেসারের ফাঁদে পা দিয়ে উইকেট ছুঁড়ে আসেন ডেভিড।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝেই ব্যক্তিগত ফিফটি করেন ম্যাক্সওয়েল। গুলবাদিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে পঞ্চাশের দেখা পান অজি তারকা। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পার হয় দলীয় একশ। তবে ইনিংসটা টেনে নিতে পারেননি ম্যাক্সি। পঞ্চাদশ ওভারের চতুর্থ বলে গুলবাদিনকে হাঁকাতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নূরের হাতে বন্দি হয়ে শেষ হয় তার ৪১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। যাতে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।

ম্যাক্সওয়েল আউট হতেই যেন শনির দশা ভর করে অজি ব্যাটারদের ভাগ্যে। রশিদ খানের বলে করিম জানাতকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫ রান করা ম্যাথু ওয়েড। এরপর গুলবাদিন ফেরান ৩ রান করা কামিন্সকে। একই পথ ধরে ফিরে যান ২ রান করা আগার। দুর্দান্ত ক্যাচে তাকে ফেরান গুলবাদিন। তাতে পথ আরও কঠিন হয়ে যায় অজিদের জন্য। আলিঙ্গন করতে হয় হারের বেদনা।

আগফাগানিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন গুলবাদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন নাভিন। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন ওমরজাই, নবী ও রশিদ। বাকিরাও মাপা বোলিং করেন।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: