ঢাকা | রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

সেলিম সোহেল | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:০৮

সেলিম সোহেল
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:০৮

ক্রোয়েশিয়ার জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া।

ক্রোয়েশিয়া পেনাল্টি শ্যুট: নিকোলা ভ্লাসিচ গোল, লোভরো মাজের গোল, লুক মদ্রিচ গোল ও মিসলাভ ওরসিক গোল। 
ব্রাজিল পেনাল্টি শ্যুট: রদ্রিগো মিস, কাসেমিরো গোল, পেদ্রো গোল, মারকুইনহোস মিস।

ম্যাচের ৯০ মিনিটে কোনো গোল না হলেও অতিরিক্ত সময়ে হয় দুই গোল। ১০৫+১ মিনিটের মাথায় নেইমার দারুণ এক গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তবে অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে (১১৭ মি.) ব্রুনো পেটকোভিচ গোল করে সমতা ফেরান। এর ফলে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা অর্থাৎ ১২০ মিনিট। তাতে ম্যাচের সমতা ভাঙতে টাইব্রেকারে গড়িয়েছে ম্যাচ। এখন দেখার বিষয় টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় কারা উতরে যায়।
 
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ১১৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। এ সময় বামদিক থেকে আক্রমণে গিয়ে বক্সের মধ্যে বল বাড়িয়ে দেন মিসলাভ ওরসিচ। বক্সের মধ্যে সেটা পেয়েই শট নেন ব্রুনো পেটকোভিচ। বল জালে জড়ায়। তাতে ফেরে সমতা।
 
ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (১০৫+১) পরিকল্পিত আক্রমণে গোল করেন নেইমার। এ সময় নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সের কিছুটা সামনে গিয়ে বামদিকে লুকাস পাকুয়েতাকে বল বাড়িয়ে দেন নেইমার। এরপর দ্রুত ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। তাকে আবার বল দেন পাকুয়েতা। এবার বল নিয়ে সামনে আগান। তাকে আসতে দেখে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষকও সামনে এগিয়ে আসেন। নেইমার শট না নিয়ে তাকে পরাস্ত করে ডানদিকে এগিয়ে যান। এরপর কোনাকুনি শট নিয়ে জালে জড়ান বল। সমুদ্রের গর্জনের মতো উল্লাসে মেতে ওঠে এজুকেশন সিটি স্টেডিয়াম।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কেউ। বলের দখল সমান সমান থাকলেও আক্রমণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারা মোট ১৪টি আক্রমণ শানিয়েছিল। তার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেটে। অবশ্য অধিকাংশ ছিল দুর্বল শট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ৬টি আক্রমণ শানালেও অন টার্গেটে কোনো শট নিতে পারেনি।

৮০ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন পাকুয়েতা। রদ্রিগের বাড়িয়ে দেওয়া বল বক্সের মধ্যে পেয়ে শট নেন পাকুয়েতা। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন ক্রোশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।

৬৬ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতা বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। তার সামনে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। পাকুয়েতাকে মারতে দেখে সামনে এগিয়ে যান তিনি। পাকুয়েতা বুকে মেরে দিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন।

৫৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।

ম্যাচের ৫১ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লাফিয়ে উঠে হেড নিয়েছিলেন ইভান প্যারিসিচ। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে প্রথমার্ধে প্রায় সমানে সমান লড়েছে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া। বলের দখল ও আক্রমণ প্রায় সমানে সমান। ব্রাজিলের দখলে ছিল ৫১ শতাংশ বল। ক্রোয়েশিয়ার দখলে ছিল ৪৯ শতাং। ক্রোয়েশিয়া তিনটি আক্রমণ শানায়। অন্যদিকে ব্রাজিল শানায় ৫টি। ক্রোয়েশিয়া অন টার্গেটে কোনো শট নিতে না পারলেও ব্রাজিল ৩টি শট নেয় অন টার্গেটে। তবে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণভাগ দারুণ সামলিয়েছে ব্রাজিলের আক্রমণভাগকে। তাদের কারণে ব্রাজিল জোরোসোরে আক্রমণ শানাতে পারছে না।

এছাড়া উভয় দল সমান ১টি করে কর্নার পায়। একটি করে হলুদ কার্ড দেখেন দুই দলের দুইজন খেলোয়াড়।

৪২ মিনিটে বক্সের সামনে ফ্রি কিক পেয়েছিল ব্রাজিল। ফ্রি কিক থেকে নেইমার শট নেন। কিন্তু তার নেওয়া শট সরাসরি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের হাতে জমা হয়।

২০ ও ২১ মিনিটে দুটি সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। প্রথমে আক্রমণে যান ভিনিসিউজ। কিন্তু বক্সের মধ্যে ঢুকে শট নিলেও সেটা ব্লক হয়ে যায়। এরপর নেইমার আক্রমণে ওঠেন। তার নেওয়া শট ধরে ফেলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক।

১৩ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এ সময় ডানদিক থেকে মারিও প্যাসালিক বাড়িয়ে দেওয়া বল গোলপোস্টের সামনে পেয়েছিলেন জোসিপ জুরানোভিচ ও ইভান পেরিসিক। জুরানোভিচ বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। তবে পেরিসিক পা ছোঁয়াতে পারলেও জালে জড়াতে পারেননি। বল তার পা ছুঁয়ে চলে যায়।

ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই আক্রমণে উঠেছিল ব্রাজিল। এ সময় বামদিকে বল পেয়ে পোস্টের ডান কোণার উপরের অংশকে টার্গেট করে মেরেছিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র। কিন্তু বল ধরে ফেলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: