
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদ্রোহীদের অপ্রতিরোধ্য আক্রমণের মুখে শনিবার গভীর রাতে দামেস্ক থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে পালিয়ে গেছেন সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ। এক বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সিরীয়বাসীর মধ্যে, কোথায় গেলেন বাশার। প্রশ্নটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও উঠেছে।
শনিবার গভীর রাতে সিরিয়ার কর্তৃত্ববাদী শাসক বাশার পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দামেস্কের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। তাদের উল্লাস করতে দেখা যায়। সশস্ত্র বিদ্রোহীরা পুরো দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
তাহলে তাড়া খেয়ে কোথায় পালিয়ে গেছেন বাশার আল-আসাদ? বিশ্লেষকরা বলছেন, গণতান্ত্রিক কোনো দেশে তার আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ খুবই ক্ষীণ। তাহলে কোনো দেশে যেতে পারেন?
মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকজন বিশ্লেষক বলছেন, দুটি দেশ আছে, যেখানে বাশার আল-আসাদ যেতে পারেন। প্রথমত ইরানের নাম আসছে। কারণ, সিরিয়ার খুব কাছাকাছি দেশ ইরান। আর ইরানই বছরের পর বছর বাশারকে সমর্থন দিয়ে আসছে।
দ্বিতীয় দেশ হিসেবে নাম আসছে রাশিয়ার। সেদেশে চলে যেতে পারেন বাশার আল-আসাদ। কারণ, বাশারের এত দিন ক্ষমতায় থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে বাশারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হতে পারে রাশিয়া।
তবে বাশার আল-আসাদ ঠিক কোনো দেশে পালিয়ে গেছেন, তা নিয়ে কঠিক কোনো তথ্য এখনও অধরা রইয়ে গেছে। শিগগির হয়তো সেই খবরও চলে আসবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: