
নিজস্ব প্রতিবেদক : অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র নাজমুল হক। সে শারীরিক প্রতিবন্ধী সত্বেও কিশোর বয়সে থেকেই ভ্যানগাড়ী চালিয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচ বহন করে এসেছে। নাজমুলকে অন্য ছাত্রদের মতো পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকা হয়নি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির পর থেকে ভ্যানগাড়ী চালিয়ে রোজগারের টাকা দিয়ে লেখাপড়ার খরচ যুগিয়ে আসছে। এছাড়া তাদের পরিবারের সংসার চালাতে কিছু খরচ দিতে হয়।
নাজমুল হক নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। ভাবিয়া ইউনিয়নের আমইল গ্রামের সবজি বিক্রেতা রওশনারা ছেলে। তাদের বাবার অবর্তমানে মা রওশনারা সবকিছু দেখভাল করেন। বসতভিটে ছাড়া আর কোন সম্পদ নেই। কোনও রকমে চলে চারজনের সংসার।
তিনি জানান, ‘ভ্যানগাড়ী চালিয়ে আমার লেখাপড়া খরচ চালাই ও সংসারে খরচ যোগাতে হয়। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখতেছি আর দুই বছর হলে অনার্স পাশ করব। আমার মায়ের ইচ্ছা আমি যেন মাস্টার্স পাস করে চাকরি করি।’
নাজমুল হকের মা রওশরানা জানান, ‘সবজি বিক্রি করে সংসার চালাই। নিজের জায়গা জমি নেই। অভাবের সংসারের কারণে ছেলের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারিনা। তাই ছেলে ভ্যানগাড়ি চালিয়ে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং আমার সংসার ও কিছু খরচ যোগায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: