
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘হামরা গরীব মানুষ বাহে। মানসের বাড়িত এ্যানা কাম করি খাই। তামরা যা দেয়, উগলা দিয়্যা প্যাটে শেংকা ভাত যায় না। সেজন্নে ঠিকমতো খাবার যোগার করতে পাই না। বেটাটা পুতিবন্দী। একটা হুইলচেয়াররের দরকার কিন্তু কিনমো ক্যামনে।’
শুক্রবার (১৭ জুন) বিকালে এভাবে আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর চরাঞ্চলের লকিয়াপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোহাম্মদ আলী।
মোহাম্মদ আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (২০) একজন প্রতিবন্ধী। জন্মের পর থেকেই দুলালের দুই পা অচল। ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। হাঁটতেও পারে না। জন্মের পর থেকেই বাবা-মা’র পিঠে উঠে চলাচল করতে হয় তাকে। তাই চলাচলের জন্য বছর ৬ আগে একটি হুইলচেয়ার থাকলেও এখন আর নেই সেটি। যার কারণে দুলালকে সারাদিন ধরে-বসে থাকতে হয় রাস্তায় পাশে কিংবা ঘরের এক কোণে।
স্থানীয়রা জানান, দুলালের যখন স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়াশোনা করার কথা, অন্যান্য ছেলেদের সঙ্গে খেলাধুলা করার কথা এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা। কিন্তু সেই বয়সে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরের এককোণে কিংবা রাস্তায় পাশে। অন্য ছেলেরা যখন খেলাধুলা করে দুলাল তখন চেয়ে চেয়ে দেখে। আর বোবা কন্ঠে চিৎকার করে কাঁদে। কেননা তাকে যে চলতে হয় বাবার ঘাড়ে উঠে আবার কখনো মায়ের কোলে উঠে। এ যেনো অসহায়ত্বের বেড়াজালে আবদ্ধ দুলাল। এই প্রতিবন্ধী ছেলেটির জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনারও সামর্থ নেই পরিবারটির।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: