ঢাকা | শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ট্রাইব্যুনালের সব বিচার কি আন্তর্জাতিক আইন মেনে হয়েছিল, প্রশ্ন উঠলো আপিল বিভাগে

এ আর লিমন | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৯

এ আর লিমন
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৯

ফাইল ফটো

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যতগুলো মামলার বিচার হয়েছে তা কি আন্তর্জাতিক আইন মেনে হয়েছিলো এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ প্রশ্ন ওঠান এ টি এম আজহারের আইনজীবী শিশির মনির। তবে আপিল বিভাগও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন মানা হয়েছে কি না সেটি আপনারাও পয়েন্ট আউট করে কোর্টের সামনে তুলে ধরেন। 

এদিকে  জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের রিভিউ শুনানি শুরু হয় আজ। তবে রিভিউতে তিনি আপিল করার অনুমতি পাবেন কি না তা নিয়ে বুধবার আদেশ দেবেন সর্বোচ্চ আদালত। আপিল বিভাগে সকাল ১০ টা ১৭ মিনিটে এর শুনানি শুরু হয়। এদিন এ টি এম আজহারের পক্ষে রিভিউ শুনানি শুরু করেন ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। 

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

তখনকার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় দেন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো নয় ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে জামায়াত নেতা আজহারকে নির্দোষ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: