ঢাকা | শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে তথ্য ও মানচিত্র নিয়ে আপত্তি চীনের

এ আর লিমন | প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪০

এ আর লিমন
প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৪০

বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে তথ্য ও মানচিত্র নিয়ে আপত্তি চীনের। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের কয়েকটি পাঠ্যবই ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এশিয়ার মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চীনকে ‘ভুলভাবে’ ভারতের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়া চিঠিতে এ দাবি করেছে করেছে চীন। চিঠিতে আরও দাবি করা হয়, হংকং-তাইওয়ানকে চীনের অংশ না দেখিয়ে দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মুখোমুখি ভারত-চীন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে যে সংকটের শুরু। এবার হাজার মাইল দূরে সেই সংকটের আচ লাগলো ঢাকার গায়।

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেয়া চীন দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়, ইবতেদায়ি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর বইয়ে বাংলাদেশ অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিজে এশিয়ার মানচিত্রে চীন ও ভারতের সীমান্ত রেখায় জ্যাংনান বা ‘তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশ’ ও আকসাই চীন ভুলভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর নবম ও দশম শ্রেণীর বইয়ে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি গন্তব্য দেশের তালিকায় হংকং ও তাইওয়ানকে দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। চীনা দূতাবাসের আপত্তি ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ম্যাপ নিয়েও।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পটপরিবর্তন ও বাংলাদেশ-ভারত টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপট চীনের বিষয়টিকে সামনে এনেছে।

সাবেক কূটনীতিক হুমায়ূন কবির বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশি। তাদের আঞ্চলিক ভূখণ্ডের প্রতি আমরা সম্মান দেখাতে হবে, এটা আমাদের রাষ্ট্র হিসেবে দায়। চীন বন্ধু তার একটি দাবি আছে সেই দাবিকেও আমরা অগ্রাহ্য করতে পারি না।

ঢাকার চীনা দূতাবাস বলছে, জাংনান সবসময় চীনের ভূখণ্ড ছিল যা অনস্বীকার্য মৌলিক সত্য। তাই চীনের ভূখণ্ডে তথাকথিত ‘অরুণাচল প্রদেশ’ স্থাপন অবৈধ।

আর ভারতের সহকারি মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতিতে জানান, চীনের এমন অপচেষ্টা প্রথম নয়। চীনের দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে ভারত। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে। নাম পরিবর্তনে বাস্তবতা বদলে যাবে না।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: