
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জুলাই-আগস্টের পর দায়ের করা ২৪শ’ মামলার একটিরও তদন্ত শেষ করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এরইমধ্যে বিশেষ মামলাগুলোর থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৫৭২ জন। এমন অবস্থায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলছেন, রাজনৈতিক এসব মামলার পরিণতি হয় সমঝোতায়।
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে পর প্রায় আড়াই হাজার মামলা হয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধে।
দেড় লাখ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয় ১২ হাজার। তবে অনেকক্ষেত্রে ঢালাওভাবে মামলা করে নিরীহ মানুষকেও ফাঁসানোর অভিযোগ আছে। যার নেপথ্যে আছে মামলা বাণিজ্যও।
ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলারই কুলকিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ফলে আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছেন অনেকেই।
বিশেষ মামলাগুলোর মধ্য থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ৫৭২ জন। মামলা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে সরকারের উচ্চপর্যায়ে।
এ বিষয়ে এক আইনজীবী বলেন, ফ্যাসিস্টের যেসব বিচারকরা ছিলেন তারা তো ফ্যাসিস্টদের মামলা দেখার পর দেরি করেননি আমরা বিরোধিতা করার পরও তারা জামিন দিয়ে দিয়েছেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি সহজেই যেনো কেউ জামিন পেতে না পারেন।
অপরাধ বিশ্লেষক বলছেন, বেশিরভাগক্ষেত্রে রাজনৈতিক মামলার বিচারের বদলে সমঝোতাই হয় পরিণতি।
অপরাধ বিশ্লেষক তৈহিদুল হক বলেন, সাজার পরিবর্তে মীমাংসা করতে হয় তাহলে তো সেই মামলা সমাজ জীবনে, অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে, অপরাধের শঙ্কা কমানোর প্রশ্নে কিংবা মানুষের মধ্যে আইন মান্য করার বৈশিষ্ট্য তৈরির প্রশ্নে কোনো গুণগত পরিবর্তন সৃষ্টি করবে না। এছাড়া এই মামলাগুলো বিভিন্ন সময় বা ভবিষ্যতে আইন বহির্ভূত উপায় বা দৃষ্টান্ত হিসেবে উদাহরণ হিসেবেই কাজ করবে।
তিনি বলছেন, ঢালাও মামলার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত দোষীদের বিচারের পথ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: