
নিজস্ব প্রতিবেদক : দিরাইয়ে কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি এবং পিআইসির দুর্নীতির কারণে বাঁধ ভেঙে একটার পর একটা ডুবছে হাওর। পিআইসিকে বাঁচাতে কাবিটা স্কীম বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাউবোর এসও ধান কাটার তথ্য উপস্থাপন করছেন যা প্রত্যাখ্যান করছে দিরাইর কৃষক ও জনপ্রতিনিধিরা।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) রাত থেকে দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের সাতবিলা ৪২ নং পিআইসি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে হুরামন্দির হাওরের আধাপাকা ধান। সন্ধ্যায় বাঁধ ভাঙার খবর শুনে স্থানীয় কৃষক দিশেহারা হয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাঁধ রক্ষার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, হুরামন্দির হাওরের ১২শ’ হেক্টর জমিতে এবছর বোরো আবাদ হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, হুরামন্দির হাওরে এখনও হাইব্রীড জাতীয় ধান পাকেনি এর পরও আধাপাকা প্রায় ৩০/৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। অনেকেই কাচি ও চালাতে পারেননি। বাঁধ ভেঙে নিমিষেই তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের একমাত্র সোনার ফসল। দিরাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হুরামন্দির হাওরের প্রায় ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এখনও হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা অব্যাহত আছে।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাবলু বলেন, ৪২ নং পিআইসি সাতবিলা বাঁধের আওতায় হুরামন্দির হাওরে ১২শ’ হেক্টর জমির মধ্যে ৪০/৫০ শতাংশ পাকা আধাপাকা ধান কাটা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। আমার চোখের সামনে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে হাওরে তলিয়ে যাচ্ছে আমাদের একমাত্র সোনার ফসল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: