নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার পাতানো সংসদ করেছে যেখানে বিরোধী দল নেই। সেখানে মমতাজের গান হয় কিন্তু বিরোধী দলের বিতর্ক নেই।
‘দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। আসলে বনের নেকড়ে সকল প্রাণী খেয়ে ফেলার পর বলছে যে আর প্রাণী নেই।
তিনি বলেন, আরে বিরোধীদল শক্তিশালী বলেই তো তাদেরকে আপনি কারাগারের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতায় আছেন। তাদেরকে গোরস্থানে পাঠিয়েছেন। আসলে বিএনপি ও বিরোধী দল আপনি ভয় পান বলেই তো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তরুণ নেতা ইশরাককে বন্দি করেছেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, রফিকুল আলম মজনু ও সুমন ভুঁইয়াকে বন্দী করেছেন। আসলে প্রধানমন্ত্রী ভীতু।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের মানুষ ভয়ংকর দু:সময়ের মধ্যে বসবাস করছে। তাদের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। অথচ সংবিধান আমাদের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড নেই। কিন্তু তারা গণতন্ত্রকে ভয় পায়। গণতন্ত্রের মানে তো বিরোধী দল আপনাদের সমালোচনা করে আপনাদের ভুল ধরিয়ে দিবে। কিন্তু আপনারা সেটা সহ্য করতে পারেন না।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসলে আপনি আতংকের মধ্যে আছেন আর রাতের অন্ধকারে ফাঁকা বুলি দিচ্ছেন। আপনার সাহস থাকলে খালেদা জিয়াসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দেন। দেখবেন প্রবল স্রোত কিভাবে আপনার সিংহাসনের দিকে ধেয়ে যায়! শত নিপীড়ন নির্যাতনের মাধ্যমে জনগণ কাতারবন্দী হয়ে আপনার সিংহাসন থেকে টেনে রাজপথে ধুলার মধ্যে নামানোর সাহস যোগার করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে বিরোধী দল দমন করে বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসক গদি রক্ষা করতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। সাহস থাকলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন, দেখবেন জনগণের প্রবল স্রোত আপনার সিংসহানের দিকে কিভাবে ধেয়ে যায়! কারণ জনগণ চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, রফিকুল আলম মজনু, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও শ্রমিক নেতা সুমন ভুইয়া সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: