
নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ভিসানীতির বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই। কোনো বক্তব্যও নেই। কারণ, এটা সরকারের বিষয়। ভিসানীতির কারণে না, দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথেই বলেছি আমরা সুষ্ঠু অবাধ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক আয়োজিত উপজেলা হল রুমে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্মার্ট কার্ড বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচ এম কামরুল হাসান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আগামী নভেম্বরের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করব।
আমাদের অন্যতম দুইটি দায়িত্বের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আমরা ইতিমধ্যে করে ফেলেছি। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যথা সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার।
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে কিনা? এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে প্রথমদিন থেকে এ পর্যন্ত সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য। রাজনৈতিক বিষয় রাজনৈতিক মাঠেই সমাধান হবে, এটা আমাদের কিছুই বলার নেই। আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা জাতির প্রত্যাশা।
বিএনপির সাথে সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সবসময়ই স্বাগত জানায়।
যখন ইচ্ছা উনারা যদি মনে করেন আমাদের সাথে কথা বলবেন, আমরা তখনই কথা বলতে রাজি। আমাদের পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে ডেকে সংলাপ করার মতো সময় নেই। আমাদের একদিন কমছে কাজ বাড়ছে। যেকোন রাজনৈতিক দল যদি মনে করে আমাদের সাথে আলোচনা প্রয়োজন আছে, রাত-দিন-সকাল যখন তারা মনে করেন তখনই আমাদের কাছে আসতে পারেন। আলোচনার জন্য আসতে পারেন। সংলাপ মানে বৈঠকি সংলাপ হবে না। ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। আমরা সংবিধানের মধ্যে আছি, সংবিধানের মধ্যেই নির্বাচন করব।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিব। এবার একটু দীর্ঘ সময় নিয়েই তফসিল দিতে চাই। এতে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে আমাদের অনেক কাজ তাড়াহুড়ো করে করতে হয়। গত নির্বাচনের রাতে ব্যালট পাঠানোর কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যার কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্গম এলাকা ছাড়া কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট সকালে পাঠানো হবে। দুর্গম এলাকা, চরাঞ্চল, দ্বীপাঞ্চলে নিবাচনের সরঞ্জাম আগের রাতে নিরাপত্তা নিয়ে ব্যালট পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। এরপর তিনি কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: