
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে । তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের উভয় প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারের গৃহীত উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্প সমূহের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সাহসী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এটি ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প গুলোর একটি।
‘২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে,’ বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, মূল সেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। বর্তমানে সেতুতে কার্পেটিং, ভায়াডাক্ট কাপের্টিং, ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন, মুল সেতু ও ভায়াডাক্টের মুভমেন্ট জয়েন্ট, ল্যাম্পপোস্ট, অ্যালুমিনিয়াম রেলিং, গ্যাসের পাইপলাইন, ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ এবং রেললাইন বসানোর কাজ চলমান। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বলে তিনি সংসদকে জানান।
প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান, এ ছাড়া দেশের উন্নয়নে আরও যে সব মেগা প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন করছে এগুলো হলো পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যন্ত ব্রডগেজ (বিজি) রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প, কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, দোহাজারী-রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালী মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। -বাসস।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: