ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

মারধরের শিকার হওয়ার পর মার্কিন দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন হিরো আলম

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৩ ০০:১৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৩ ০০:১৮

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশবার্তা ডেস্ক : আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে চিঠি দিয়েছেন বলে দাবী করেছেন।

বিশেষ করে প্রচারণায় সময় ‘হামলার শিকার’ হওয়ার ঘটনা ওই চিঠিতে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন এই ইউটিউব তারকা। তিনি দাবি করেছেন, মার্কিন দূতাবাস থেকে তাকে পাশে থাকার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হলে তাও তাদের জানাতে বলেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন হিরো আলম। হিরো আলম চিঠিতে লিখেছেন, আমি আশরাফুল হোসেন আলম আগামী ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। এর আগে ১৬ জুন আমি আপনাদের জানিয়েছিলাম, আমি ভয় পাচ্ছি যে, নির্বাচন কমিশন আমার নমিনেশন প্রত্যাখ্যান করবে। তারা শেষ পর্যন্ত তাই করেছিল। তবে পরে আমি আপিল করে নমিনেশন ফেরত পেয়েছিলাম।

তিনি আরো লিখেছেন বলে দাবী করেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের কাছে আমার পাঠানো মেইল তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি সাততলা বস্তি এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার সরাসরি নির্দেশে আমি ও আমার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে কোনো ফলাফল ছাড়াই আমাকে ফিরতে হয়। হিরো আলম ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে বলেন, অন্য কোনো উপায় না থাকায় আমি আপনাদের জানানো ও বিবেচনার স্বার্থে এই চিঠি লিখেছি।

সংবাদমাধ্যমে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন বুঝে গেছে তারা আমার সঙ্গে জিততে পারবে না। এজন্য তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে।

এর আগে গত বুধবার (৫ জুলাই) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে প্রচার চালাতে গেলে তাকে ও তার কর্মী সমর্থকদের প্রথমে বাধা প্রদান ও পরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ হিরো আলমের।

এ ব্যাপারে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: