ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

আমরা রাশিয়ার পাশে থাকবো : প্রধানমন্ত্রী

আল আমিন | প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২ ০২:৪৫

আল আমিন
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২ ০২:৪৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকবো।

ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান সংকটে জাতিসংঘে আনা দ্বিতীয় প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ । বুধবার (৩০ মার্চ) বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম দেশ হওয়ায় শুধুমাত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রথম প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোট না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় প্রস্তাবে মানবতার বিষয় থাকায় বাংলাদেশ ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকা আবার ভোট দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন একটা দেশের বিরুদ্ধে প্রস্তাব তখন বাংলাদেশ ভোট দেইনি, যখন মানবাধিকারে বিষয় আসে তখন ভোট দিয়েছে।

এক সম্পূরক প্রশ্নে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রথমে ভোটদানে বিরত ধাকা আবার ভোট দেয়া প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন জানতে চান।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘে যখন প্রথম প্রস্তাবটা এলো আমরা দেখলাম, সেই প্রস্তাবটায় কোনো মানবাধিকারের কথা নেই, যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা নেই, সেখানে কোনো বিষয় নেই। একটা দেশের বিরুদ্ধে ভোট, সেটা হলো রাশিয়া। তখন আমি বলে দিলাম এখানে তো আমরা ভোট দেবো না। আর যুদ্ধ তো একা একা বাঁধে না। উস্কানি তো কেউ না কেউ দিচ্ছে। দিয়ে দিয়েই তো বাঁধালো যুদ্ধটা। সেখানে একটা দেশকে কনডেম করা হবে কেন? সেই জন্য আমরা ভোটদানে বিরত ছিলাম।


আর রাশিয়া হলো আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকা যখন সপ্তম নৌবহর পাঠায় পাকিস্তানের পক্ষে আর রাশিয়া তখন আমাদের পাশে দাঁড়ায়। কাজেই যারা দুঃসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা নিশ্চয়ই তাদের পাশে থাকবো। কিন্তু তারা যদি কোনো অন্যায় করে সেটা আমরা মানবো না, আর আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু যুদ্ধটা বাঁধালো কারা, উস্কানিটা কারা দিল, সেটাও আমরা দেখতে পাই। সেই জন্য আমরা তখন সিদ্ধান্ত দিলাম, একটা দেশের বিরুদ্ধে আমরা ভোট দেবো না।

দ্বিতীয় প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় প্রস্তাব যেটা এলো সেটা হচ্ছে, ইউক্রেনে এই যুদ্ধের কারণে মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, রিফিউজি হয়ে যাচ্ছে, ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই কষ্ট পাচ্ছে, সেখানে মানবতার বিষয়টা ছিল। দ্বিতীয় প্রস্তাবে যেহেতু মানবাধিকারের প্রশ্নটা আছে সেইখানে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: