ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২২ ২২:৪২

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২২ ২২:৪২

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিকেদক : কখনো যদি বাংলাদেশে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তা যথাযথভাবে প্রতিরোধ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, দেশ আরো উন্নত হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যে কোনো হুমকি- আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ আমরা করবো না, জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্র নীতি শিখিয়ে গেছেন ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি।’

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে শরিয়তপুরের জাজিরায় ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে সরকারের নেওয়া কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীকে আমাদের আরও উন্নত-প্রশিক্ষিত, সমৃদ্ধশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমি মনে করি আমাদের সশ্রস্ত্র বাহিনীর প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্য-নিষ্ঠা দিয়ে আমাদের দেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে।’

‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানে সফলভাবে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সেনানিবাসের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড ও অধীনস্থ ইউনিটগুলো নিরলসভাবে পরিশ্রম করে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজ শেখ রাসেল সেনানিবাস একটি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সব ধরনের প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সুবিধা তৈরি করা হয়েছে।

‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, ‘এই টুকু বলবো শুধু এই নির্মাণ নয়, এই সেতুর বিধানও একান্ত ভাবে প্রয়োজন। আর সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু দ্রুত শুরু হয়ে যাবে যান চলাচল, কাজেই সেতুর নিরাপত্তা একান্ত ভাবে অপরিহার্য।’

নতুন সেনানিবাসটির নাম ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ রাখায় সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার দুই ভাইই তো আসলে সেনাবাহিনীর সদস্য ছিল (ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল)।... সবার ছোট রাসেল তাকে আমরা হারিয়েছি। রাসেলের আকাঙ্ক্ষা ছিল সামরিক অফিসার হবে, হতে পারেনি। আমি সেনাবাহিনী প্রধান ও সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই আজকে এই সেনানিবাসের নাম শেখ রাসেল সেনানিবাস রাখা হয়েছে। অত্যন্ত তার আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলেও রাসেলের নামটা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থাকলো।’

নতুন এ সেনানিবাসের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং সেনানিবাসের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষেরও সার্বিক উন্নয়ন হবে। কারণ আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেখানেই থাকুক, যেখানেই তাদের সেনানিবাস আছে সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকাগুলোতেও কিন্তু অনেক উন্নতি হয়। সেখানে স্কুল-কলেজ, চিকিৎসা কেন্দ্র বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠে। আশাপাশের মানুষগুলোর আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। তারাও লাভবান হয়।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: