
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার প্রাঃ হাসপাতাল সেবা ক্লিনিকের মালিক এ এম মাহবুবুর রহমানের অবশেষে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বপুর উপজেলার সালুকাবাদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে। তিনি মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ডাঃ মোহাম্মদ মইনুল হক খান সহকারি পরিচালক (প্রশাসন-১) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী স্বাক্ষরিত এক আদেশে (যাহার স্মারক নং-২৪৪/২০২৩ তারিখ-৯/২/২৩) তার বদলি নিশ্চিত হয়।
আদেশে বলা হয়, এই আদেশ প্রশাসনিক কারণে জারি করা হইল এবং আদেশ-জারীর (৭)সাত কর্ম দিবসের মধ্যে বদলি কৃত কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করিবেন। অন্যথায় (৮) আট কর্ম দিবসের মধ্যে সরাসরি অব্যাহতি পাইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে। ইহাতে মহাপরিচালক মহোদয়ের পরিদর্শন প্রতিবেদনের নির্দেশনা রয়েছে।
এ ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান ইসলাম শোভন মাহবুবের বদলি নিশ্চিত করে বলেন, মাহবুব এর বিরুদ্ধে কর্মস্থলে না থাকার অভিযোগ ছিল পরে আমাদের তদারকিতে নিয়মিত হিসেবে পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি তিন দিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপরে এখান থেকে রিলিজ নিবেন।
এদিকে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, এই মাহবুবের একটি প্রাইভেট সেবা ক্লিনিক ও হাসপাতাল রয়েছে। লাইসেন্স না থাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ বন্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাক্তার না হয়ে নামের আগে ডাক্তার লেখা, ডাক্তার না হয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা, ভুল অপারেশন করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে আমার নিকট। আমি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সত্যতা মিললে লিখিত প্রতিবেদনসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করেছি। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমার তো কিছু করার নাই।
এ বিষয়ে হাসপাতালের প্রতিবেশী ডাইড কন্ট্রাক্টর মোহাম্মদ আইয়ুব মোল্লা জানান, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এ এম মাহবুবুর রহমান ভাঙ্গায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্য, দালালি, কর্মস্থলে না থেকে ক্লিনিকে সেবাদান ও ঊর্ধ্বতন অফিসারদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ বহু অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। পরে এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপে ভাঙ্গা থেকে তাকে বদলি করা হয়েছিল। সে ডাক্তারি পেশাকে কুলুষিত করে ফেলেছিল যা আমাদের কাম্য ছিল না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: