
বিদেশবার্তা ডেস্ক : বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) অনুষ্ঠিত হবে। গণসমাবেশকে ঘিরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার সাথে সারাদেশের সড়ক ও নৌপথে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সবশেষ শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে বরিশালের খেয়া নৌকায় যাত্রী পারাপারও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরআগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে বন্ধ করে দেয়া হয় ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস চলাচল। যেকারণে সারাদেশ থেকে এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে বিভাগীয় শহর বরিশাল।
সমাবেশের দু’দিন পূর্বেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা গণসমাবেশস্থল বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হতে থাকে। সড়ক পথের সকল যানবাহন ও নদী পথের লঞ্চগুলো বন্ধ থাকলেও শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই ট্রলারযোগে নেতা-কর্মীরা আসতে থাকে। বিকালের পর সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এর আগে মহাসড়কে নসিমন, করিমন, থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে পরিবহন এবং মহাসড়কে চলাচলের দাবিতে থ্রি-হুইলার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে ৪ ও ৫ নভেম্বর দুইদিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। তবে কোন কারণ ছাড়াই বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকে আজ শনিবার (৫ নভেম্বর) পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ চলাচল। ফলে পথে পথে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন সাধারণ জনগণ।
সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী। যেকারনে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশের নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩৬ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে।
স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, সড়ক ও নদীপথ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা অনুযায়ী নেতা-কর্মীরা আগেই সমাবেশস্থলে এসেছেন। তারা বৃহস্পতিবার রাতে সমাবেশস্থলের মাঠে রাত কাটিয়েছেন। আর নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য মাঠের মধ্যে সামিয়ানা ও ত্রিপলের ছাউনি দেয়া হয়েছে। গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর জন্য দুই রাত মাঠে কাটানোর প্রস্তুতি নিয়ে তাঁবু টানিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি এসব নেতা-কর্মীদের খাবারের জন্য মাঠেই বিশেষ ব্যবস্থায় রান্না করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: