ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

জাবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দশালা’র ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি পালন 

আল আমিন | প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২৮

আল আমিন
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২ ০৩:২৮

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:  নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের বিকাশকেন্দ্র আনন্দশালা স্কুলের ১৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু ভবনে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকি পালন করা হয়।

এ সময় আনন্দশালা স্কুলের পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ নুরুল আলম, উপ- উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো: মনজুরুল হক, পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুমানা রইচ প্রমুখ।

এসময় উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ নুরুল আলম বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা যে আচরণ করে এটা তারা বুঝে না, তাদের প্রতি আমাদের সবার মানবিক আচরণ করতে হবে। আপনারা এরকম কোন আচরণ করবেন না যাতে তারা কষ্ট পায়।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মা-বাবা তাদের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানকে নিয়ে কষ্ট পায়। আমি মনে করি, আপনাদের কষ্ট পাওয়া উচিৎ না। তাদেরকে বোঝা মনে না করে সুষ্ঠুভাবে লালনপালনের মাধ্যমে দেশের সম্পদে পরিণত করতে হবে।

আনন্দশালা স্কুলের প্রিন্সিপল সুরাইয়া আকতার শিখা বলেন, অটিস্টিক শিশুরা সমাজের বোঝা নয় বরং এসব শিশুদের সামাজিক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরনের মাধ্যমে এদের রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিনত করা সম্ভব। আর এজন্য সমাজের শিক্ষিত, দায়িত্বলীল ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানা ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে এসব বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান আনন্দশালা স্কুলের প্রিন্সিপল।

প্রিন্সিপল আরও বলেন, আনন্দশালা স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষক অত্যন্ত মানবিক ও স্নেহসুলভ আচরনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও পরিচর্যা করে থাকেন। ত্যাগের মাধ্যমে তাদের এ সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য শিক্ষকদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

সকাল ১১ মনোমুগ্ধকর এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন আনন্দশাল স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

অনষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আনন্দশালা স্কুলের শিক্ষিক সুমিতা দে মিতা, সৈয়দা নার্গিস সোমা, নাছিমা আখতার শিলু, ওয়াকিয়া আখতার, শামিমা হক লুচি, ফাতেমা তুজ- জোহরা, আল-আমিন আলো প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় আনন্দশালা স্কুল।


বিদেশ বার্তা/ আল- আমিন আলো



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: