
বিদেশবার্তা ডেস্ক : আগামী ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর হবে ‘রাষ্ট্রীয়’ পর্যায়ের। আর এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরালো হবে। এ সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি ধ্রুপদি মুর্মু ও উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এ সময় শেখ হাসিনা আজমির সফর করতে পারেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি পারস্পরিক বিশ্বাস, বোঝাপড়া, জোরালো ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফর দুই দেশের বহুপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে।
এদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরা থাকবেন কি না এ বিষয়টি নিশ্চিত করেননি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি বলেন, সফরের আরো কয়েক দিন বাকি আছে। প্রতিনিধিদলে কারা থাকবেন তা ওই সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।
অন্যদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দরজা খুলবে। এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে পাঁচ থেকে সাতটি এমওইউ সই হতে পারে। এর মধ্যে কয়েকটি নতুন। বাকি এমওইউগুলো নবায়ন করা হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: