
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা তাদের দলের নাম পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারেন- রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন আলোচনা দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, নাম পাল্টালেও দলটির নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের আদেশে বাতিল হয়েছে। তাই ওই দলের ব্যক্তিরা ভিন্ন নামে আবেদন করলেও নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ নেই।
অবশ্য আদালত কোনো আদেশ দিলে ভিন্ন কথা। সে আদেশ মানতে হবে। ’
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার (২৯ আগস্ট) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, অন্য নামে হলেও জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে তো সেটা অন্য বিষয়।
২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর গণতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পায়। দলটির নিবন্ধন নম্বর ছিল ১৪। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।
জামায়াতে ইসলাম সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়কে স্থগিত না করে আপিল আবেদন গ্রহণ করায় হাইকোর্টের রায়ে ভিত্তিতেই ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। আপিল বিভাগ জামায়াতের সেই আপিল খারিজ করে করে দেন ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: