
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণ ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে অন্যান্য গণতন্ত্রকামী দেশপ্রমিক দলসমূহের সাথে গণঅধিকার পরিষদ নিম্নোক্ত বিষয়ে একত্রে বা যুগপৎভাবে কাজ করতে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সিদ্ধান্ত হয়।
গণঅধিকার পরিষদ’র যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ বিদেশ বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১/ ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণের ভোটবিহীন জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার হঠাতে যুগপৎ বা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন-সংগ্রাম।
২/ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন, ইভিএম বাতিল করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ।
৩/ রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনায়নসহ সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংস্কার।
৪/ বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পুর্ণরূপে আলাদা করে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারক নিয়োগে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন।
৫/ বাক, ব্যক্তি ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশ করার অধিকারসহ নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা।
৬/ খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দী ও ধর্মীয় নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।ভিন্নমতের উপর রাষ্ট্রীয় দমন, পীড়ন, গুম, খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা- মামলা বন্ধে পদক্ষেপ।
৭/ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সকল গণবিরোধী ও নিপীড়নমূলক আইন বাতিল করা।
৮/ বর্তমান সরকারের গত ১৩ বছরের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ।
৯/ মেগা প্রকল্প ও কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইন করে বাপেক্সেকে শক্তিশালী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা।
১০/ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেশ, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বসহ জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: