ঢাকা | শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

হাইকোর্টের রায়ের পরেও যোগদানের অনুমিত পাচ্ছে না রাবির সেই মাসুদ

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২ ২০:২৮

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২২ ২০:২৮

ছবি: সংগৃহীত

রাবি প্রতিবেদক : হাইকোর্টের রায় পাওয়ার পরও কাজে যোগদানের অনুমিত না দিয়ে কর্মচারীকে নানাভাবে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিম্নমান সহকারি মাসুদুর রহমান লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে মাসুদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ তাকে কাজে যোগ দিতে দিচ্ছে না। বেতন-ভাতা প্রদান না করে তাকে নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ তুলেন এই কর্মচারী।

তিনি অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, গত ২৭ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার স্যার কোনো কারণ দর্শানো ও তদন্ত ছাড়াই নির্বাহী আদেশে আমাকে চাকরিচ্যুত করে। পূর্বের দায়ের করা এক রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈতবেঞ্চ উপাচার্যের চাকরিচ্যুতির এই আদেশ গত ৩০ মে স্থগিত করে। হাইকোর্টের ওই আদেশের সার্টিফাইড কপি ৩১ মে প্রাধ্যক্ষ’র মাধ্যমে রেজিস্ট্রারকে দিতে গেলে প্রাধ্যক্ষ আবেদন সুপারিশ না করে দিনভর আমাকে বসিয়ে রাখেন।

পরে সহকারি রেজিস্ট্রারকে আদেশের কপি প্রদান করি, তিনিও গ্রহণ করতে নানা গড়িমসি করেন। বর্তমানে সারাদিন অফিসে গিয়ে বসে থাকি, আমাকে কাজ করতে দেয়া হচ্ছে না।

অভিযোগ পত্রে মাসুদ আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেতন-ভাতাদির বিল ও গত ঈদ ফিতরের বোনাস প্রদানের জন্য আবেদন করি, কিন্তু প্রাধ্যক্ষ মহোদয় আমার আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ওই কর্মচারীর হাইকোর্টের রায়ের কপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পেয়েছে। পাওয়ার পরে প্রশাসন এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছে। হাইকোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দেয় আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এই সমস্যার সমাধান আদালতেই হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শহীদমিনার ও জাতীয় দিবসের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে কোনো কারণ দর্শানো ও তদন্ত ছাড়াই উপাচার্যের নির্বাহী আদেশে মাসুদুর রহমানকে গত ২৭ মার্চ চাকরিচ্যুতি করা হয়। উপাচার্যের আদেশের প্রেক্ষিতে হায়র্কোটে মামলা করেন ওই কর্মচারী। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ছাড়াও মামলার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে। মাসুদুর রহমানের পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: