
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান পলাতক, আপিল বিভাগ স্পষ্ট করলেও মানতে নারাজ তার আইনজীবীরা। তারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করতে এ পদক্ষেপ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
ডা. জোবায়দা রহমান পলাতক, ১৫ বছর পর জানা গেল বুধবার (১ জুন) আপিল বিভাগের রায়ে। এমনকি পলাতক আসামি আইনি কোনো সুবিধা না পেলেও উচ্চ আদালত থেকে সে সুবিধা পান জোবায়দা।
সর্বোচ্চ আদালতের এ রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পাওয়ার পর দুদক আইনজীবী অ্যাভোকেট খুরশীদ আলম খান বলছেন, আদালতে আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত তারেক-জোবায়দা দম্পতির আইনি দরজা বন্ধ।
তিনি বলেন, আইনের দৃষ্টিতে ডা. জোবায়দা পলাতক। তিনি যদি মামলা লড়তে চান, তবে আগে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তারপর মামলা লড়তে পারবেন। তার আইনজীবীরা বলছেন, এটা সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা। এটা আমার কাছে মনে হয়, এক ধরনের ভণ্ডামি।
রবিবার (৫ জুন) তারেক-জোবায়দার মামলায় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ নিতে পারবেন না বলেও জানান দুদক আইনজীবী।
খুরশীদ আলম বলেন, পলাতক আসামির পক্ষে কথা বলার কোনো আইনগত সুযোগ নেই।
তারেক-জোবায়দার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, জোবায়দা পলাতক নন, হেনস্তা করার জন্যই আন্দোলনের সময়ে এসে মামলা গতিশীল করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মামলার শুনানির সময় ডা. জোবায়দা রহমান উপস্থিত ছিলেন। এ কারণে তিনি আইনের চোখে পলাতক না। এখন আন্দোলন বেগবান হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ প্রস্তুত রয়েছেন। এ সময় মামলা গতিশীল হচ্ছে। সব বিষয়ই কেমন যেন মনে হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখানে কাজ করছে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে এ মামলাটি হয়। দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলেও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের কারণে ১৫ বছরেও বিচারকাজ শুরু করা যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: