
নিজস্ব প্রতিবেদক: গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ তার সংসদ সদস্যরা, তার দোষররা পাগল হয়ে গেছে। যে কারণে ড. রেজা কিবরিয়ার মতো উচ্চশিক্ষিত একজন ব্যক্তিত্ব, যার বাবা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করেছেন; তাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছে।
কে বলেছে? ইতোমধ্যে আপনারা বলেছেন, আহমদ না আহম্মক হোসেন। রাজনীতি করলেও তিনি এমপি বা কোনো জনপ্রতিনিধি হতে পারেননি। এই ধরণের বোকামির কারণে তার দলের মানুষও তাকে পছন্দ করে না। সেই ধরণের আহাম্মকের বক্তব্য নিয়ে কথা বলে কেন আমরা ২০ জন মানুষ ২০ মিনিট সময় নষ্ট করবো?
শুক্রবার (২০মে) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূর বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গায় থেকে প্রধানমন্ত্রী যখন অসহিষ্ণু বক্তব্য দেন; তার সেই বক্তব্য সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। এ সময় বর্তমানে রাজনীতি একটা গুণ্ডাপাণ্ডাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জন্য সমগ্র জাতি তার সমালোচনা করছে। আমরা যদি আরেকজনকে পদ্মা নদীতে চুবাতে চাই, তাহলে তার আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায় রইল? আমরা কাউকে চুবাতে চাই না।
কে বলেছে? ইতোমধ্যে আপনারা বলেছেন, আহমদ না আহম্মক হোসেন। রাজনীতি করলেও তিনি এমপি বা কোনো জনপ্রতিনিধি হতে পারেননি। এই ধরণের বোকামির কারণে তার দলের মানুষও তাকে পছন্দ করে না। সেই ধরণের আহাম্মকের বক্তব্য নিয়ে কথা বলে কেন আমরা ২০ জন মানুষ ২০ মিনিট সময় নষ্ট করবো?
নূর আরও বলেন, বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি যিনি বিশ্বের যেকোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে ৫মিনিটের মধ্যে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে পারেন। তিনি ড. মোহাম্মদ ইউনূস। অথচ এই সরকার কীভাবে ড. ইউনূসকে বেইজ্জতি করেছে! তার পরিশ্রমে গড়া প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্ব দেখেছে। এ সরকারের সংকির্ণতা, তাদের নোংরামি সারাবিশ্বের মানুষ দেখেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যাপারে নূর বলেন, যিনি বড় একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন; তাকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) টুস করে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। আপনারা জানেন প্রবাদ আছে, পরের জন্য কুয়া খুঁড়লে সেই কুয়ায় নিজেকে পড়তে হয়। ইট মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। এটা বাস্তব।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা ব্রিগেডিয়ার (অব.) হাবিবুর রহমান হাবিব, ড. বদরুল আলম সিদ্দিকী, অধ্যাপক মালেক ফরাজীসহ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: