
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বড় ধরনের এই ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৪১৮ জন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮০০ জনের বেশি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।
সবশেষ পাওয়া খবরে, বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুই দেশে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পটি আধুনিক তুরস্কের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের পর আরও ২ হাজার ৩শ’র বেশি আফটারশক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা। এতে যেসব ভবন এখনও অক্ষত আছে সেগুলোর স্থায়ীত্ব নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পের সাত দিন পেরিয়ে গেছে। এখনও ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে মিলছে প্রাণের সন্ধান। শত বাধা, কষ্ট উপেক্ষা করে উদ্ধারকারীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধ্বংস্তূপের নিচ থেকে জীবিত কিংবা মৃত সবাইকে বের করে আনতে। তবে এখনও হাজার হাজার মানুষ চাপা পড়ে থাকায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের।
এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা দিতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন। সূত্র: রয়টার্স।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: