
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। শপথ নেওয়ার পরপরই সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শত শত সেনা এবং পুলিশ কমান্ডো প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীদের উপর অভিযান চালায়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানী কলম্বোতে প্রধান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শিবিরে অভিযান চালিয়ে তাঁবু ভেঙে ফেলেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এ সময় বিক্ষোভে নেতৃত্ব কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিক্ষোভকারীরা এলাকাটি ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগে এই অভিযান চালানো হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির একজন ভিডিও সাংবাদিককে সেনাবাহিনী মারধর করেছে এবং একজন সেনা সদস্য তার ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিও ডিলিট করেছে।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে যে, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। পরবর্তীতে জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে, যিনি মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই।
এরপর দেশটির সংসদ ভোটের মাধ্যমেই রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। বিক্রমাসিংহে নিজেও দেশটির জনগণের কাছে তিনি অত্যন্ত অজনপ্রিয়। তিনি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে কিছু বিক্ষোভকারী বলেছেন, তারা তাকে একটি সুযোগ দেবেন।
অর্থনৈতিক সংকটের জের ধরে শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক এই অস্থিরতা চলছে।
অনেকে রাজাপাকসে প্রশাসনকে দেশের অর্থব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী করেন এবং বিক্রমাসিংহেকে সমস্যার অংশ হিসেবেই মনে করেন। কিন্তু পার্লামেন্ট ভোটে জয়লাভের পরদিন রাস্তায় কম বিক্ষোভ দেখা গেছে।
বিক্রমাসিংহে শপথ নেওয়ার পরপরই স্পষ্ট করে বলেন, সরকার পতন বা সরকারি ভবন দখলে নেওয়ার যে কোনও প্রচেষ্টা গণতন্ত্র নয়। এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন- যারা এই ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হবে তাদের আইন অনুযায়ী দৃঢ়ভাবে মোকাবেলা করা হবে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে, ধীরে ধীরে সরকার প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করতে শুরু করবে। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: