
স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (১০৫+১) পরিকল্পিত আক্রমণে গোল করেন নেইমার। এ সময় নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণে ওঠে ব্রাজিল। ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সের কিছুটা সামনে গিয়ে বামদিকে লুকাস পাকুয়েতাকে বল বাড়িয়ে দেন নেইমার। এরপর দ্রুত ঢুকে পড়েন বক্সের মধ্যে। তাকে আবার বল দেন পাকুয়েতা। এবার বল নিয়ে সামনে আগান। তাকে আসতে দেখে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষকও সামনে এগিয়ে আসেন। নেইমার শট না নিয়ে তাকে পরাস্ত করে ডানদিকে এগিয়ে যান। এরপর কোনাকুনি শট নিয়ে জালে জড়ান বল। সমুদ্রের গর্জনের মতো উল্লাসে মেতে ওঠে এজুকেশন সিটি স্টেডিয়াম।
১০৩ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার মার্সেলো ব্রোজোভিচ। বামদিক থেকে ব্রুনো পেটকোভিচের বাড়িয়ে দেওয়া বল তিনি বক্সের মধ্যে পেয়ে যান। সামনে ছিলেন কেবল ব্রাজিলের গোলরক্ষক এলিসন। তাকে ফাঁকি দিতে পারলেই গোল হতে পারতো। কিন্তু উড়িয়ে মেরে সুযোগ মিস করেন তিনি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কেউ। বলের দখল সমান সমান থাকলেও আক্রমণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। তারা মোট ১৪টি আক্রমণ শানিয়েছিল। তার মধ্যে ৮টি ছিল অন টার্গেটে। অবশ্য অধিকাংশ ছিল দুর্বল শট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া ৬টি আক্রমণ শানালেও অন টার্গেটে কোনো শট নিতে পারেনি।
৮০ মিনিটে আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন পাকুয়েতা। রদ্রিগের বাড়িয়ে দেওয়া বল বক্সের মধ্যে পেয়ে শট নেন পাকুয়েতা। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন ক্রোশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
৬৬ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতা বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। তার সামনে ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। পাকুয়েতাকে মারতে দেখে সামনে এগিয়ে যান তিনি। পাকুয়েতা বুকে মেরে দিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন।
৫৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু সেটি ধরে ফেলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লাফিয়ে উঠে হেড নিয়েছিলেন ইভান প্যারিসিচ। কিন্তু সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: