
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই আওয়ামী লীগ রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে টিকে থাকতে গিয়ে নিজ দলের লোকদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।’
আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় যাওয়ার পথে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে হামলা, কৃষক দলের সহ-সভাপতি আবুল বাশার আকন্দের গাড়িসহ অন্যান্য নেতার গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের আহত করা হয়েছে। শেরপুরে নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নিঃসন্দেহে কাপুরুষতা। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। আর এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিজদলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। নেতাকর্মীদের আহত করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘায়েল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী সরকার। আর এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর নামেই মামলা দিচ্ছে। কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না তারা।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে উল্টোভাবে ফুলপুর উপজেলা যুবদলের সভাপতি সানোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিপুল কবির, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হক টুটুল, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক শাহজাহান সিরাজসহ ৩০/৩৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষকদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলামকে।’
এসব ঘটনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর চলমান জুলুম-নির্যাতনের খণ্ডচিত্র’ বলেন মির্জা ফখরুল।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: