
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোরের সূর্য আকাশে উঁকি মারার আগেই খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্লাকার্ড, ব্যানার এবং ধানের শীষ নিয়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। মিছিলে মিছিলে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো বিএনপির নেতাকর্মীদের দখলে চলে যায়। এ সময় অনেক মোড়ে পুলিশকে নিষ্ক্রিয়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সকাল ১০টার সময় নগরীর শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, নড়াইল, যশোর, মাগুরা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীর স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে এলাকা।
ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়া যুবদল কর্মী নাসির জানান, শুক্রবার রাতে রকেট ট্রেনে তারা খুলনার সমাবেশে এসেছেন। ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। অনেকে ঝুলে, আবার অনেকে ট্রেনের ছাদে উঠে এসেছেন।
তিনি বলেন, আসার পথে পুলিশ বাধা না দিলেও বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছে।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা কৃষক দল নেতা রবিউল ইসলাম জানান, আসার পথে ফুলতলা উপজেলায় তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তারা বাধা উপেক্ষা করেই সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।
মেহেরপুরের বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, তারা শুক্রবার রাতে একটি পিকআপভ্যানে একসঙ্গে ২০-২৫ জন খুলনায় এসেছেন। সারা রাত না খেয়ে, না ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। তবে, এতে তাদের কষ্ট নেই বলে জানান।
মাগুরার মহম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া থেকে আসা শিমুল বলেন, অনেক বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে ভোরে সমাবেশ এসে পৌঁছেছি।
শালিখা উপজেলার বুনাগাতী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা নূর মিয়া মোল্লা বলেন, রাতে ৫০ জন নেতাকর্মী ট্রলারে খুলনার উদ্দেশে রওনা দেন। নওয়াপাড়ায় তাদের আটকিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা ভ্যানে, পায়ে হেঁটে, সিএনজিতে করে সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: