
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ভিন্ন ধরনের নীল নকশা করেছে। আর এই নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের উদ্দ্যোগে বিগত দিনে বিএনপির আন্দোলনে নিখোঁজ-খুন হওয়া পরিবারগুলোর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনার রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন-প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, এই নির্ববাচন কমিশনার শেখ হাসিনার একেবারে নিজস্ব ক্রীতদাস হিসেবে কাজ করছে। এটাই তিনি প্রমাণ দিচ্ছেন। দেশের সাংবিধানিক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এই কথাটি কী করে বলতে পারেন। যত অবৈধ রাইফেল, বন্দুক তলোয়ার সবত আওয়ামী লীগের হাতে। ভোটাররা তো তলোয়ার, রাইফেল নিয়ে যায় না। তারা তাদের অধিকারটা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেই অধিকারটা হচ্ছে ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। এই নিশ্চয়তা চায় ভোটাররা।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হচ্ছে একেবারে শেখ হাসিনার খাস মানসিক সন্তান। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গোটা দেশটাকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য বানিয়েছেন। আওয়ামী লীগকে একটি সন্ত্রাসী দল বানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে বসিয়েছেন। তারা এখন প্রতিনিধিত্ব করছেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে টিকে থাকার জন্য ২০১৪ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিহীনভাবে নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। ২০১৮ সালে মিড নাইট নির্বাচন করেছে। এইবার একটা অন্য ধরনের পরিকল্পনা তাদের আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রধান ম্যানেজার হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী আরও বলেন, তলোয়ার নিয়ে আসলে রাইফেল নিয়ে নামবেন এই কথাটা কেন আসবে? আপনিতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে মানুষের ভোটার অধিকার প্রয়োগে পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। যতটুক ক্ষমতা আছে তাতে এতটুক। আপনিতো এটা করবেন না। যেদিন আপনাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেদিন থেকে সারা দেশের মানুষ জানে আপনি প্রধানমন্ত্রী নীল নকশা বাস্তবায়ন করবেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, 'আজকে জ্বালানি কেনার টাকা নেই, যা দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণ কিনতে পারা যাবে। ব্যাংকে পর্যন্ত পরিমাণ টাকা নেই, যা আছে তার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ও তাদের আত্মীয় স্বজন উত্তোলন করে বিদেশে পাচার করেছে। এই পরিস্থিতিতে জনগণ বেঁচে থাকতে পারবে কিনা সেই শঙ্কায় পড়েছেন।'
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা নয়, এদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই দলীয় সরকারের অধীনে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন তখন সুষ্ঠু হবে যখন নির্দলীয় সরকার গঠন করা হবে। বিএনপি সেই লক্ষ্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।'
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: