
বিদেশবার্তা ডেস্ক : বরিশাল ও শিল্প নগরী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ নিরবচ্ছিন্নভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দুই সিটি করপোরেশনেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচন উপলক্ষে দুই সিটিতে আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন মনিটর করছে নির্বাচন কমিশন।
খুলনা সিটির ২৮৯টি কেন্দ্রের ১,৭৩২টি বুথে ভোটগ্রহণে প্রায় ৩,০০০ ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। আর বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি ওয়ার্ডে ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণে ১,৫০০ ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।
১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর এটি হবে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৬ষ্ঠ নির্বাচন। কেসিসির নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, ৩১টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪জন এবং ১০টি সংরক্ষিত নারী আসনে ৩৯জনসহ মোট ১৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল রহমান (টেবিল ঘড়ি)।
কেসিসি নির্বাচনে ৩১টি ওয়ার্ডের মোট ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) সাতজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটে লড়ছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী।
বিসিসির মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আ’লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র হিসেবে সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপন প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: