
বিদেশবার্তা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৫ জন নিহত।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালের এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। তাদের মধ্যে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরগামী পদ্মা ট্রাভেলসের দুটি বাস ওভারটেকিং করতে গিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বাসযাত্রী নিহত হন। পরে হতাহতদের উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আরও ৩ জন মারা যান।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ছয়টি শর্তে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চালকরা পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজায় অপেক্ষা শুরু করেন। তাদের অনেকেই ঢাকা থেকে রাতে এবং অনেকেই সেহেরি করেই রওনা দিয়েছেন।
তবে সময় হওয়ার আগে কাউকে সেতুতে উঠতে দেয়া হয়নি। মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে এনে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে দিয়ে আলাদা লেনে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার আগে আটকে রাখে পুলিশ।
এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সরকার ঘোষিত সকাল ৬টার আগে কোনও মোটরসাইকেল পদ্মা সেতুতে উঠতে দেয়া হবে না। এ জন্য যেসব মোটরসাইকেল ৬টা বাজার আগেই পদ্মা সেতু প্লাজার কাছে চলে আসছে তাদের আমরা পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে থেকে রোড ডাইভারশন দিয়ে ঘুরিয়ে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
পদ্মার সেতুতে চলতে মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে নির্ধারিত একটি টোল। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর পরেও মোটরসাইকেলের জন্য রোড ডাইভারশন দেয়া হয়েছে।
পদ্মা উত্তর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেলগুলোকে শৃঙ্খলিতভাবে পদ্মা সেতুতে ওঠানোর জন্য থানার একটি টিম কাজ করছে। সকাল ৬টার আগে কোনও মোটরসাইকেলকে পদ্মা সেতুতে উঠতে দেয়া হয়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: