ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত: সিইসি

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪১

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:৪১

ফাইল ছবি

বিদেশবার্তা ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এক সময় দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে কোনো আইনি বাধা নেই। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তির পদ নিয়ে যে বিতর্ক সামনে আনা হচ্ছে, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন।

এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আ’লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন, যিনি দুদকের একজন সাবেক কমিশনার। ইতোমধ্যে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।

দুদক আইনে বলা আছে, কোনো কমিশনার অবসর নেওয়ার পর প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এখন মো. সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দুদক আইনের ওই সূত্র ধরে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদটি ‘লাভজনক’ কি না।

রাষ্ট্রপতি পদ লাভজনক কি না, সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। তবে এর আগেও এ নিয়ে বিতর্ক হয়েছে এবং ১৯৯৬ সালে হাইকোর্ট এক রিট মামলার রায়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির পদ ‘লাভজনক নয়’।

ওই বছর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল। বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মামলায় বলা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে রাষ্ট্রের কোনো লাভজনক পদে বসা যায় না। শুনানি শেষে আদালত রায় দিয়েছিল, রাষ্ট্রপতির পদ ‘লাভজনক নয়’; সুতরাং সাহাবুদ্দীন আহমদের রাষ্ট্রপতি হতে বাধা নেই।

সেই প্রসঙ্গ ধরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সংবিধান, আইন, বিধি বিধান ও আদালতের রায় পর্যালোচনা করলে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে মো. সাহাবুদ্দিনের কোনো ধরনের ‘অযোগ্যতা নেই’। এই নিয়ে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ এবং ১৯৯৬ সালের সাহাবুদ্দীন আহমদ বনাম আবু বকর সিদ্দিক মামলার রায়টি পড়ে শোনান সিইসি।

গত মঙ্গলবার (১৪ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরও এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন “ওই রায়ে স্পষ্ট বলা রয়েছে, রাষ্ট্রপতির পদিটি অফিস অব প্রফিট নয়। এটা কন্সটিটিউশনাল পদ। অতএব বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদনের রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণ ছিল সম্পূর্ণভাবে বৈধ। ওই মামলা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

‘যেহেতু উচ্চ আদালতের রায় আইন হিসেবে বিবেচিত হয়, সেহেতু বর্তমানে যিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, যদিও তিনি দুদকের কমিশনার ছিলেন, উনার রাষ্ট্রপতি পদ গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই।’

তিনি দাবি করেন, লাভজনক পদ বলতে কী বোঝায়, আইন তা স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, যদিও তালিকা দেওয়া হয়নি। ‘লাভজনক পদের ক্ষেত্রে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত এবং কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি সরকারের ৫০ ভাগের অধিক অর্থ থাকে, তাহলে সেই পদে নিয়োগকে বলা হবে লাভজনক পদ।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: