
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ভোক্তা পর্যায়ের খুচরা বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানি শুরু হয়। এই শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি এই সুপারিশ করে। শুনানি চলবে বিকাল পর্যন্ত। আজ কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামীকালও।
শুনানিতে পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি টন কয়লার দাম ২৩০ ডলার এবং প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৭০ টাকা হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। কিন্তু বিআরসি পাইকারি মূল্য বৃদ্ধিতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কাজেই এই মূল্য কাঠামো ধরে দাম বাড়ানো হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে না।
গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
২১ নভেম্বর বিতরণ কোম্পানির জন্য পাইকারি দর ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। তবে বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: