
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাজনীতি দেশের কল্যাণের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য একটি ব্রত। রাজনীতি দেশসেবার জন্য, সমাজ পরিবর্তনের জন্য কিংবা যে আদর্শে বিশ্বাস করে রাজনীতি করেন, সেই আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। রাজনীতি পেশা বা উন্নতির সোপান হওয়া সমীচীন নয়।
আজ সোমবার দুপুরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিল্লুর রহমান এমন একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। রাজনীতি প্রকৃত পক্ষে একটি ব্রত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য বেশির ভাগ রাজনীতিবিদ সেটি মনে রাখেন না এবং সেটি মনে করেন না। জিল্লুর রহমান রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার জীবন যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখতে পাই, তিনি একেবারে তরুণ বয়স থেকে রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৭ সালে গ্রেফতারের পর মতিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে আমাদের কাছে খবর পাঠান যে, জিল্লুর রহমানই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তার আগে নেত্রীর বিরুদ্ধে যখন অনেকে বেসুরে কথা বলছিল, তখন দলের পক্ষ থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের একটা বিবৃতি আমি নিজে ড্রাফট করে জিল্লুর চাচার কাছে গিয়েছিলাম।
তখনো নেত্রী গ্রেফতার হননি। আমার লেখার ভাষাটা বেশ কড়া ছিল। তখন জিল্লুর রহমান আমাকে বললেন যে, আমাদের নামের বিবৃতি এত কড়া ভাষায় দেওয়া ঠিক হবে না। তার কথাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। বললেন, ভাষাটা একটু সফট (নরম) করো। তখন আমি আবার রিরাইট করেছিলাম।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের সংকটকালে জিল্লুর রহমানের যে ভূমিকা, সেটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে লেখা থাকবে। একজন আপাদমস্তক ভদ্র মানুষ, ভালো মানুষ ছিলেন জিল্লুর রহমান। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কোনো সময় রাগতেন না তিনি। অনেক মানুষ রাগান্বিত হয় কিন্তু জিল্লুর রহমানকে আমি কখনো রাগান্বিত হতে দেখিনি।
তিনি বলেন, আজ যে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ২০০৭-২০০৮ সালে নেত্রীর প্রতি অবিচল থেকে দলকে যদি রক্ষা করা না হতো তাহলে আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করতে পারতাম না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা ধস নামানো বিজয় পেতাম না। আজ যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, ২০০৮ সালে নির্বাচনে নির্বাচিত হতে না পারতাম তাহলে এটি কখনোই সম্ভব হতো না। এটির ভীত রচনা করার জন্য জিল্লুর রহমানের ভূমিকা ছিল।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: