ঢাকা | সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

বিএনপির শূন্য আসনে ভোট জানুয়ারিতে

আল আমিন | প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫০

আল আমিন
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ০৪:৫০

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া জাতীয় সংসদের আসনগুলোতে আগামী বছরের জানুয়ারিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামী বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসবে সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৪০-৪৫ দিন হাতে রেখে ওই দিনেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আবার ফাইল উপস্থাপনের মাধ্যমেও এ তফসিল ঘোষণা করতে পারে ইসি।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রথমে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন হবে। এরপরে কোন কোন দল এসব আসন পায়, তার ওপর ভিত্তি করে সংরক্ষিত নারী আসনটি বণ্টন হবে। তাই জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন হতে পারে। বৃহস্পতিবার ইসির অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৩৮-৪০ দিন সময় হাতে রাখলে ২৩ জানুয়ারির পরে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে পারে।

এদিকে গতকাল নির্বাচন কমিশন আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট হাতে পেয়েছে। এখন প্রস্তুতি চলছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের। এই শূন্য ছয় আসনের নির্বাচনের তফসিল খুব তাড়াতাড়িই হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করায় আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পেয়েছে। তফসিল আমরা খুব তাড়াতাড়িই দেব ইনশা আল্লাহ। যেহেতু ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরেকজন নির্বাচন কমিশনার ঢাকার বাইরে আছেন। পরশুদিন হয়তো তারা আসবেন।

এরপর বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে হয়তো আমরা বসব। মিনিমাম সময় যেটা দিতে হয় সেটি দিয়ে আমরা (তফসিল) দিয়ে দিব। আমরা ৯০ দিন অপেক্ষা করব না। যেহেতু পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এক বছরের একটু বেশি সময় আছে। ওই হিসাবে ৯০ দিনের আগেই দিয়ে দেব।

তিনি বলেন, সব নির্বাচনই ৯০ দিনের মধ্যে করতে হয়। কিন্তু মিনিমাম একটা সময় দিতে হয়। কারণ, নমিনেশন জমা দেওয়ার সময় আছে, বাছাইয়ের সময় থাকে, প্রত্যাহারের সময় থাকে, প্রচারণার সময় থাকে। এ জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় দিতে হয়। এই সময়টা দিয়ে তারিখ ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে বা নথির মাধ্যমে ফাইল পুটআপ করে হতে পারে। তাহলে আর পরবর্তী মিটিংয়ের প্রয়োজন হবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগেই ছয়জন সংসদ সদস্যের পদত্যাগ বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কি-না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, আমরা কোনো প্রেশার অনুভব করছি না। আমাদের হলো রেফারির কাজ। আমরা মাঠ প্রস্তুত রাখব, গ্যালারি প্রস্তুত রাখব। সবকিছু প্রস্তুত রাখব প্লেয়াররা খেলতে আসবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে আসার আগ পর্যন্ত দায়িত্ব কিন্তু যারা এটির আয়োজন করে তাদের। সরকার এবং রাজনীতিবিদদের। এই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই। খেলোয়াড়রা আসুক বা না আসুক আপনারা শুধু মাঠ প্রস্তুত রাখবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই আসবেন। সব খেলোয়াড়রা নাও আসতে পারেন। যাদের প্রস্তুতি থাকবে না তারা তো নাও আসতে পারেন। ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে। সবগুলো দলই যে নির্বাচন করবে সেটি তো আর বলা যায় না।

সবাই নির্বাচনে না এলে মনে অসন্তুষ্টি থাকবে কি-না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখব যে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বা সক্রিয় রাজনৈতিক দল যারা আছে, তারা এলেই বলব যে, একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে।

বিদেশ বার্তা/ এএএ



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: