
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নই বৈষম্য দূরীকরণের মূল শর্ত।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু হোটেলে ব্র্যাক ব্যাংক আয়োজিত গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ব্যাংকিং অন ভ্যালুজ (জিএবিভি) এর বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং নিয়ে আয়োজিত জিএবিভি এর এই সম্মেলনে ৪৩টি দেশ থেকে আগত জিএবিভিএর সদস্য, আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, জিএবিভি নেটওয়ার্ক ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে জিএবিভি কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় শিল্প-কারখানা এবং এর সাথে সম্পর্কিত স্টেকহোল্ডারদের অগ্রসর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এ কাজগুলোকে প্রভাবিত করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ফলশ্রুতিতে দারিদ্র বিমোচনে প্রশংসনীয় অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের নিকট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নারীর কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নের রোল মডেল।
স্পিকার বলেন, সর্বসাধারণের মঙ্গলের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা, প্রচলিত আইন ও নীতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তামাকের পরিবর্তে টিকা, জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং জলবায়ু পরিবর্তনে বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতসমূহে টেকসই উন্নয়ন ধারণা সরকারি বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। তাই দেশের সুবিধাবঞ্চিত এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে সকল চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে ব্যাকিং সেক্টরে বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংকিং দেশে একটি সহনশীল সমাজ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিদেশ বার্তা/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: