
বিদেশবার্তা ডেস্ক : ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাস মাঠে দুপুরের ওই গণসমাবেশকে ঘিরে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই জেলার ভেতর ও জেলা থেকে বাইরে পরিবহন যাওয়া-আসা বন্ধ আছে।
মোটরযান মালিক ও বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, নিরাপত্তার জন্য গণপরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, গণপরিবহনের ও নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘাত হলে সড়কে থাকা গণপরিবহন ভাঙচুর হতে পারে। এজন্য ময়মনসিংহের বাস, ট্রাক অটোরিকশার চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, তাদের কর্মসূচিতে জনসমাগম ঠেকাতেই সরকারের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সব দিকে হরতাল চলছে। নেতা-কর্মীদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা হেঁটে সমাবেশের দিকে আসছেন। অনেক স্থানে হামলা করা হয়েছে। নগরীর হোটেল মোস্তাফিজে নেতা-কর্মীরা অবস্থান করায় সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ, তাদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবুও সব বাধা অতিক্রম করে সকাল থেকে সমাবেশ স্থল ভরে উঠেছে।
মহানগর আ’লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশ করতেই পারে। এটি তাদের অধিকার। কিন্তু নৈরাজ্য হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। মোড়ে মোড়ে থাকবে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মো. মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা বলেন, ‘কাউকে লাঠি-বাঁশ নিয়ে আসতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তায় শহরজুড়ে পুলিশ থাকবে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: