
নিজস্ব প্রতিবেদক: মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থা ব্যবহার করে ‘সংলাপ ও আলোচনার’ মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা এড়াতে চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী বিদ্যমান ব্যবস্থার মাধ্যমে আলোচনা করবেন যাতে কোনো উস্কানি হলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা যায়।
রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘মূলত, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে একটি পদক্ষেপ। হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তারা বিষয়টি স্বীকার করেছে।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও বিজিবি সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ কারণে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হতে পারে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সীমান্তে যাতে কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না হয় সেজন্য চেষ্টা চলছে। আমরা অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। বিজিবি বাংলাদেশের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেবে না।’
এর আগে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল ছোড়া, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমার থেকে নির্বিচারে বিমান গুলি চালানো এবং আকাশপথ লঙ্ঘনের বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।
গেল আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুটি মর্টারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় মিয়ানমারকে দু’বার কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি গুরুত্বের সাথে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করেছে।
সূত্র : ইউএনবি
বিদেশ বার্ত/ এএএ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: