ঢাকা | শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ [email protected] +৮৮ ০১৬৮২ ৫৬ ১০ ২৮, +৮৮ ০১৬১১ ০২ ৯৯ ৩৩

ইবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবী হত্যা

মো: মনিরুল ইসলাম | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:৪৬

মো: মনিরুল ইসলাম
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:৪৬

ফাইল ছবি

ইবি সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম উর্মির শ্বশুর বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানালেও উর্মিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন স্বজনদের।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে খবর পেয়ে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্থানীয় থানা পুলিশের একটি টিম তার লাশ উদ্ধার করেছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া জানান, ঐ ছেলে একটা নেশাখোর। নেশা করে এসে আমার মেয়েকে মারধোর করেছে। তার গায়ে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তারা আমার মেয়েটকে মেরে ফেলে জানালার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো। তারপর হাসপাতালে লাশ নিয়ে গেছে। ওর শ্বশুর, শ্বাশুড়ী আর জামাই। ওরা এক বছর যাবৎ আমার মেয়ের উপর শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করছিল। ওর স্বামী নেশা করত যখনি ও স্ত্রী হিসেবে এইটা বলে তখনি তারা এক হয়ে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন করত। আমরা এখন হত্যা মামলা করব।

তার মা বলেন, স্বামী সন্তান ঘরে থাকা অবস্থায় আমার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেনা। আমার সাথে সন্ধ্যার আগে কথা হয়েছে ভিডিও কলে আমার নাতি হাটা শিখেছে এইটা নিয়ে খুব খুশি ছিলো ও। ও আমাকে সবসময় ভিডিও কল দিতো। আমি স্কুলে থাকলেও আমাকে কল দিয়ে কথা বলত।

ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বলেন, পুলিশ এটা একটা অপমৃত্যু মামলা নিয়েছে। আমরা চাই মৃত্যুর সঠিক কারণটা উদঘাটিত হোক। সাইন্টিফিক রিপোর্ট অনুযায়ী যদি এটা অপমৃত্যু হয়ে থাকে, তার প্রাণহানির পিছনে যদি কোনো ব্যক্তি মানুষ থাকে, সেটা যেন উদঘাটন করা হয় এবং এর সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এটা আমাদের দাবি থাকবে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, উর্মির শরীরের আঘাতের আলামত রয়েছে। ময়না তদন্তের পর কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব হবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: