
বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে : নাটোরের বড়াইগ্রামে সুদি মহাজনের চাপ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী- স্ত্রী এক সঙ্গে বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করে স্ত্রী মারা যাওয়ার ১২ ঘন্টার মাথায় স্বামী ওমর ফারুক (৩২) ও মারা গেলেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১১ টায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওমর ফারুক উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর মহল্লার মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণের চাপে ফল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক ও তার ছোট স্ত্রী বিথী শুক্রবার সকালে হালদার পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে তারা দুজন এক সাথে পরে পাশেই কালিকাপুরে ফারুকের পৈত্রিক বাড়িতে যান। সেখানে স্বজনরা বুঝতে পেরে তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে ও পরে রাজশাহী নেয়ার পথে সকাল ১১ টার দিকে বিথী আক্তার মারা যান। ওমর ফারুককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রাজশাহী বেসরকারী নিউ লাইফ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান।
হাসপাতালে ফারুকের সঙ্গে থাকা বোন মায়া খাতুন জানান, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু চিকিৎসকরা যখন তার সুস্থ হওয়ার আশা ছেড়ে দিলেন, তখন
বাধ্য হয়েই বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। সুদি মহাজনদের চাপে একদিনে ভাই- ভাবি দুজনকেই আমরা হারালাম। এখন আমার ভাইয়ের সন্তানদেরকে কে দেখবে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: